জিম্বাবুয়ে সফরে জয়টাকে অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ দল। এবার টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই ) বাংলাদেশ সময় বিকেল সাড়ে ৪টায় মাঠে নামবে টাইগাররা।
 
টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করায় বেশ আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ দল। একই সঙ্গে এ ফরম্যাটে বাংলাদেশের অতীত পারফরম্যান্সও বাংলাদেশকে বড় আশা দেখাচ্ছে।
 
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৩ টি-টোয়েন্টির ৯টিই জিতেছে বাংলাদেশ। শেষ ৪ ম্যাচে নেই কোনও হার। জিম্বাবুয়ের কাছে সবশেষ টি-টোয়েন্টি বাংলাদেশ হেরেছিল ২০১৬ সালে খুলনায়। এরপর তাদেরকে দেশের মাটিতে প্রত্যেকটি ম্যাচেই অনায়াসে হারিয়েছে। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে অবশ্য ড্র হয়েছে ৩টি। দুই দল দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছে ৫টি। বাংলাদেশ জিতেছে ২টি। জিম্বাবুয়ে সিরিজ জিততে না পারলেও ড্র করেছে।
 
 
তবে জিম্বাবুয়েকে হাল্কাভাবে নিচ্ছেন না অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। তিনি বলেন,‘আমার মনে হয়, প্রতিটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচই চ্যালেঞ্জিং। আমার মনে হয়, এই সংস্করণে ফেভারিট টিম বলাটা কঠিন। নির্দিষ্ট দিনে যারা ভালো খেলে, তাদেরই জয়ী হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ে খুব ভালো একটি দল। আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলেই ওদেরকে হারাতে হবে।’
 
 
তিন ওয়ানডেতে জিম্বাবুয়েকে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ। এর আগে টেস্ট সিরিজও জিতেছে। এবার টি-টোয়েন্টিতেও একই পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তি চান মাহমুদউল্লাহ, ‘টেস্টে আমরা ভালো খেলেছি, ম্যাচ জিতেছি। তিনটা ওয়ানডেতেই আমাদের ব্যাটসম্যান, বোলাররা ভালো পারফরম্যান্স করেছে। আমরা তিনটা ম্যাচই জিতেছি। এই আত্মবিশ্বাসটা আমাদের অবশ্যই থাকবে। আমরা চেষ্টা করব, সেই আত্মবিশ্বাস নিয়ে কালকের ম্যাচটা যেন খেলতে পারি এবং আমরা যেন আমাদের পক্ষে ফল আনতে পারি।’
 
জিম্বাবুয়ে সিরিজের পর ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫টি করে এবং ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৩টি টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। এরপর বাংলাদেশ যাবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মঞ্চে।